এফিলিয়েট মার্কেটিং হল অনলাইন টাকা ইনকাম করার সর্বাধুনিক উপায়। যার দ্বারা বিভিন্ন ইউটিউবারস ,ব্লগার রা দ্বারা বেশ লাভবান হন। ইউটিউব, ব্লগ ছাড়াও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যম আছে যেগুলি থেকে অনলাইন টাকা ইনকাম করা যায় যেমন ……বাইসেল অ্যাডস ,গুগল অ্যাডসেন্স ,প্রপেলার অ্যাডস , আমাজন আসোসিয়েটস ইত্যাদি। তাও বলা যায় এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করাটা সব থেকে লাভজনক অনলাইন ব্লগার ও সোশ্যাল মিডিয়া ইউজার্স দের মধ্যে সব থেকে বেশি জনপ্রিয় হল এই এফিলিয়েট মার্কেটিং।
সর্বপ্রথম যদি অনলাইন ইনকাম করতে চান, আপনার নিজস্ব একটি ইউটিউব চ্যানেল বা অনলাইন ওয়েবসাইট বা ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক এ একাউন্ট থাকা দরকার । তবেই আপনি রোজকার করতে পারবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে কোনো অনলাইন কোম্পানির ডিজিটাল প্রোডাক্ট বা আমরা প্রায়শই অনলাইন বড়ো বড়ও ওয়েবসাইট বা আ্যপ এর মাধ্যমে যে প্রোডাক্ট গুলি কিনতে থাকি, সেগুলি আপনার নিজের ব্লগ , ওয়েবসাইট ,ইউটিউব চ্যানেল ,সোশ্যাল মিডিয়া পেজে এর এফিলিয়েট লিংক মাধ্যমে শেয়ার করতে পারেন বা সঠিক অর্থে বলা যায় প্রমোট করতে পারবেন।
আপনার চ্যানেল এর ভিজিটররা ওই এফিলিয়েট লিংক এর মাধ্যমে গিয়ে ওই প্রোডাক্ট গুলি কিনবেন বা তাদের মেন কোম্পানির ওয়েবসাইট এ গিয়ে অন্য প্রোডাক্ট গুলিও দেখবেন এবং পছন্দ হলে কিনবেন ও তখন ই ওই প্রোডাক্ট গুলির সেলার হিসেবে আপনি কিছু টাকা আয় করতে পারবেন , বলা ভালো কমিশন পাবেন। প্রধানত আপনার কাজ হল অনলাইন ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এফিলিয়েট হিসেবে বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট গুলিকে শেয়ার করা, সেই কোম্পানির প্রোডাক্ট গুলি যেনো আরও বেশি বেশি করে কাস্টমার দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে এই কোম্পানি গুলি থেকে প্রাপ্ত কমিশন এর পরিমাণ সবসময় একই হবে না , কোম্পানি অনুযায়ী প্রাপ্ত অর্থ মুল্য ও আলাদা হবে।
অনেকসময় দেখা যায় বিভিন্ন অনলাইন কোম্পানি গুলি তাদের প্রচার ও বিক্রির মাত্রা বাড়ানোর জন্য, ইউটিউবার, ব্লগার, দের ব্যাবহার করা হয় যারা এই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রচার করে থাকে এবং তার বদলে কমিশন পায় এই পদ্ধতিকেই বলা হয় এফিলিয়েট মার্কেটিং।
*এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে কাজ করে ??
এবারে আমরা জানব এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে কাজ করে …………..
এফিলিয়েট মার্কেটিং এ দেখা যায় একজন বিক্রেতা বা প্রোডাক্ট উৎপাদনকারী প্রথমে একটি এফিলিয়েট প্রোগ্রাম তৈরি করেন। অনেক জনপ্রিয় এফিলিয়েট মার্কেটিং কোম্পানি রয়েছে যারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে এই এফিলিয়েট প্রোগ্রাম টি করে থাকেন ……
সবথেকে জনপ্রিয় উপায় হল আপনি ইন্টারনেটে এ থাকা যে কোনো একটি অনলাইন নামকরা ওয়েবসাইটে এফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে নিজের নাম রেজিস্টার করাতে পারেন ।তারপর সেই শপিং ওয়েবসাইট এর যেকোনো প্রোডাক্ট এর এফিলিয়েট লিংক দ্বারা প্রমোট বা শেয়ার করে টাকা আয় করতে পারবেন।
এবারে আসা যাক কাজের কথায় , কিভাবে এই এফিলিয়েট মার্কেটিং কাজ করে বা বলা ভালো কিভাবে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবেন ……..
সর্বপ্রথম অনলাইন ইনকাম করার জন্য আপনার কাছে কোনো অনলাইন মাধ্যম থাকতে হবে , কোনো স্থায়ী প্ল্যাটফর্ম থাকা জরুরি যার দ্বারা আপনি প্রচার করতে পারেন। তাহলে আপনি যদি ভেবে থাকেন এফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে আপনার ক্যারিয়ার শুরু করবেন কোনো জনপ্রিয় মাধ্যম যেমন ইউটিউবের চ্যানেল বা ব্লগ খুলতে পারেন অথবা যেকোনো সোশ্যাল মিডিয়ায় একাউন্ট বানাতে পারেন। কিন্তু আপনার এই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ল্যাটফর্ম গুলিতে ভিজিটর বা ফলোয়ার্স এর সংখ্যা অনেক থাকতে হবে তবেই আপনি সঠিক অর্থে লাভের মুখ দেখবেন। তাই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল অডিয়েন্স, আপনার পেজে যত বেশি ট্রাফিক এর সংখ্যা বাড়বে তত বেশি মানুষ আপনার লিংক ব্যাবহার করবেন আর আয় এর পরিমাণ বাড়তে থাকবে।
আপনাকে নিজের ইউটিউব চ্যানেল টিকে আগে শক্তিশালী বানাতে হবে, অর্থাৎ যে ব্যাপারেই আপনি চ্যানেল খুলে থাকুন না কেন আপনাকে দর্শক এর সংখ্যা বাড়াতে হবে। আপনাকে সেই চ্যানেল টিতে কনটেন্ট এর কোয়ালিটি উচ্চমানের দিতে হবে ,তবেই আপনি ওই এফিলিয়েট লিংক গুলিতে ভিজিট করার জন্য বিপুল সংখ্যায় দর্শক পাবেন।
দ্বিতীয়ত , আপনার যদি খুব জনপ্রিয় ব্লগ বা ফেসবুক পেজ বা ইউটিউব চ্যানেল থেকে থাকে তাহলে আপনাকে খুব ভালো একটি এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এ যুক্ত হতে হবে । আপনি এই অনলাইন এফিলিয়েট প্রোগ্রাম গুলি জয়েন করার পর তবেই তাদের সামগ্রী গুলি প্রমোট করতে পারবেন । আমাদের ইন্ডিয়া তে কিছু এফিলিয়েট প্রোগ্রাম হয় যেগুলি তে চাইলেই আপনি জয়েন হতে পারেন ……
রিসেলার ক্লাব , ফ্লিপকার্ট এফিলিয়েট, আমাজন অ্যাসোসিয়েট , ভি কমিশন , বিগ রক এফিলিয়েট , ইয়াত্রা এফিলিয়েট , সপিফাই এফিলিয়েট ইত্যাদি।
আপনি এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এ যুক্ত হওয়ার পর, কেমন ধরনের প্রোডাক্ট আপনি প্রমোট করতে চান সেটা আপনার চয়েস এর ওপর নির্ভর করছে যেমন ধরনের প্রোডাক্ট আপনার পছন্দ হবে সেটাই আপনি চুস করতে পারেন।
এবার আপনার বাছাই পর্ব শেষ হবার পর আপনাকে একটি এফিলিয়েট লিংক দেওয়া হবে ওই চুস করা প্রোডাক্ট গুলির জন্য, আপনি তারপর আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারবেন। ওই লিংক গুলির মাধ্যমে ভিজিটর রা সরাসরি প্রোডাক্ট কিনতে পারবে।
এবার আপনি ওই এফিলিয়েট লিংক টি আপনার নিজস্ব চ্যানেল, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যম এ শেয়ার করতে পারবেন অর্থাৎ এই লিংক টি নিয়ে আপনি মার্কেটিং করতে পারবেন।
আপনার এফিলিয়েট করা লিঙ্কের দ্বারা যত অডিয়েন্স ওই ওয়েবসাইট এর প্রোডাক্ট গুলি কিনবে তত বেশি কমিশন পাবেন ।
*এফিলিয়েট মার্কেটিং দ্বারা কত টাকা আয় করা যাবে ??
এটা সম্পূর্ণ ভাবে আপনার ওপর নির্ভর করছে , আপনি কেমন প্রোডাক্ট এর এফিলিয়েট লিংক নিয়ে মার্কেটিং করতে চান তার বাজার দর কতটা অর্থাৎ মার্কেটে সেই প্রোডাক্ট গুলির চাহিদা কেমন। এমন অনেক এফিলিয়েট মার্কেটার আছে যারা মাসে কয়েক লক্ষ টাকা ইনকাম করছে ।
আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রসেসিং টা ভালো করে বুঝে নিলে আপনিও কমপক্ষে মাসিক কয়েক হাজার টাকা তো ইনকাম করতেই পারেন।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায় , আপনি একটি নির্দিষ্ট মোবাইল কোম্পানির যত লেটেস্ট ভার্সন বাজারে আসে সেগুলির ডিটেলস আপনার নিজস্ব ব্লগ এ আর্টিকেল রূপে লেখেন ….. আপনি ওই মোবাইল কোম্পানির এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এ রেজিস্টার করিয়ে নিজের ব্লগ এ এফিলিয়েট লিংক শেয়ার করে , অর্থ উপার্জন করতে পারেন । আপনি ওই কোম্পানির থেকে যথেষ্ঠ ভালো রকম কমিশন পেতে পারেন।
আপনি যেকোনো কোম্পানির রেজিস্টার এফিলিয়েট মার্কেটার হন না কেন ,বিক্রির হার অনুপাতে ওই কোম্পানি থেকে পার্সেন্টেজ হার এ কমিশন পাবেন।
বিভিন্ন ডিজিটাল প্রোডাক্ট যেমন ডোমেন বা হোস্টিং এর এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন , তাহলে হস্টাগটর নামক কোম্পানি আপনাকে ভালো রকম কমিশন দেবে। আপনাকে একটু সজাগ থাকতে হবে আপনি যে দ্রব্য গুলির এফিলিয়েট মার্কেটিং করছেন সেগুলি বাজারে চাহিদা আছে কিনা এবং সেগুলি থেকে বেশি কমিশন পাবেন কিনা সেটাও জানতে হবে। তবেই আপনি খুব তাড়াতাড়ি বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে বেশি অর্থ উপার্জন করবেন এবং সেটি যদি কম সময়ে করতে চান …….. কিছু কিছু ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে, যেমন ……
আপনি সবথেকে দামী জিনিসের মার্কেটিং করতে চাইবেন সবসময়।
আপনার এফিলিয়েট লিংক কত বেশি জায়গায় আপনি প্রমোট করছেন, অডিয়েন্স সেই লিংক ব্যাবহার করে কতটা পরিমাণ প্রোডাক্ট কিনছেন।
যে প্রোডাক্ট টি মার্কেটিং করছেন তার বাজারে চাহিদা আছে কিনা এই বিষয় গুলি সঠিক ভাবে খেয়াল করলেই আপনি খুব কম সময়ে প্রতিষ্ঠিত এফিলিয়েট মার্কেটার রূপে নিজের নাম লেখবেন।
*কিছু বিখ্যাত এবং লাভজনক এফিলিয়েট প্রোগ্রাম :
বর্তমান সময়ে অনলাইন ব্যাবসার এত রমরমা চারিদিকে, তাই প্রত্যেকেই চায় বাড়িতে বসে ছোটোখাটো অনলাইন বিসনেস করতে। তাই অনলাইন কোম্পানি গুলিও সবরকম সুযোগ সুবিধা আপনার জন্য খুলে রেখেছেন।
আজকাল এমন অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা এফিলিয়েট প্রোগ্রাম করিয়ে থাকেন কিন্তু সারা ভারতে কিছু বিখ্যাত এফিলিয়েট প্রোগ্রাম হয়ে থাকে সেগুলো সম্পর্কে আমি নিচে আলোচনা করব।
আমাজন এফিলিয়েট প্রোগ্রাম :
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর দুনিয়ায় , আ মাজন একটি জনপ্রিয় নাম। আমাজন নিজস্ব এফিলিয়েট প্রোগ্রাম করিয়ে থাকেন, যার থেকে প্রচুর মার্কেটার রা আমাজন এর প্রোডাক্ট এর রেফারেল লিংক শেয়ার করে অর্থ উপার্জন করে থাকে এব্ং ভালরকম কমিশন পান। কারণ আমাজন হল বিশ্বের নামকরা একটি ই কমার্স ওয়েবসাইট তাই এই ওয়েবসাইট টি যেসকল সুবিধা দিতে পারবে অন্য কোম্পানি দিতে পারবে না।
গো ড্যাডি ( ডোমেন ও হোস্টিং ) :
গো ড্যাডি একটি অতি জনপ্রিয় মাধ্যম সারা বিশ্বে। বিশেষত ডোমেন এবং হোস্টিং এর মত ডিজিটাল প্রোডাক্ট গুলির ক্ষেত্রে। আপনার যদি ইউটিউব চ্যানেল থাকে বা নিজস্ব ব্লগ থাকে, যেখানে ব্লগিং এর টিউটোরিয়াল এর কনটেন্ট আপনি দিয়ে থাকেন , তাহলে আপনার ক্ষেত্রে একদম সঠিক হল গো ড্যাডি তে এফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে রেজিস্টার করানো কারণ এর থেকে প্রাপ্ত কমিশন এর পরিমাণ ও অনেক বেশি।
আপনি খুব সহজেই গো ড্যাডি এর এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এ যুক্ত হতে পারেন এবং ১০০% কমিশন পেতে পারেন।
ফ্লিপকার্ট এফিলিয়েট প্রোগ্রাম :
ফ্লিপকার্ট একটি অতি জনপ্রিয় শপিং ওয়েবসাইট, আমরা প্রত্যেকেই কমবেশি শপিং রেগুলার বেসিস এ করে থাকি এই ওয়েবসাইট এ। ফ্লিপকার্ট এফিলিয়েট প্রোগ্রাম ও খুব বিখ্যাত এবং যেকোন এফিলিয়েট মার্কেটার চাইবে এই ওয়েবসাইট এ রেজিস্টার করাতে । কারণ এখানে সবরকম শ্রেণীর মানুষের জন্য প্রোডাক্ট পাওয়া যায় তাই আপনি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে শেয়ার ও করতে পারেন অডিয়েন্স ও আগ্রহী হবে। আপনি কমিশন সঠিক সময়ে পেয়ে যাবেন।কমিশন এর হার ও খুব ভালো পাবেন।
HostGator এফিলিয়েট প্রোগ্রাম :
হসটাগেটর ও আজকাল খুব জনপ্রিয় একটি কোম্পানি , যারা খুব বেশি কমিশন দেয় । বিশেষত ডোমেন ও হোস্টিং এর জন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং আপনি করতে পারেন। ওদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে খুব সহজেই আপনি রেজিস্টার করতে পারেন এবং টাকা ইনকাম করতে পারেন।
ওয়ার্ডপ্রেস এফিলিয়েট প্রোগ্রাম :
ওয়ার্ড প্রেস এফিলিয়েট প্রোগ্রাম একটি অতি নতুন জনপ্রিয় মাধ্যম । এই ওয়েবসাইটে রেজিস্টার করানোর পদ্ধতি টি খুব সহজ। এফিলিয়েট মার্কেটার রা এই ধরনের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভালো মত ইনকাম করে থাকেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও তার উত্তর :
*এফিলিয়েট প্রোগ্রাম জয়েন করতে কত টাকা লাগে ??
এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এ যুক্ত হতে কোনো রকম টাকা লাগে না। আপনি বিনামূল্যে বিখ্যাত কিছু কোম্পানির এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এ যুক্ত হতে পারেন।
*এফিলিয়েট প্রোডাক্ট এর প্রমোশন কিভাবে করবেন ??
এফিলিয়েট প্রোডাক্ট গুলির প্রমোশন এর সর্বোচ্চ মাধ্যম হলো ইউটিউব চ্যানেল বা নিজস্ব ব্লগ । আপনি যে প্রোডাক্ট গুলিকে এফিলিয়েট করতে চান তার টিউটোরিয়াল ভিডিও বানিয়ে বা ইনফরমেটিভ আর্টিকেল বানিয়ে অডিয়েন্স কে বোঝাতে পারবেন তারাও আগ্রহী হবে প্রোডাক্ট গুলি কিনতে। তাছাড়াও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রমোশন করতে পারেন যেখানে সর্ব স্তরের দর্শক আপনি পেতে পারেন।
*কিরকম প্রোডাক্ট প্রমোশন বা মার্কেটিং আপনি করবেন ??
সবসময় মনে রাখতে হবে যে প্রোডাক্ট আপনি এফিলিয়েট এর জন্য চুস করবেন তার মার্কেটে বিপুল চাহিদা থাকে। আপনি অনলাইন প্রোডাক্ট চুস করতে পারেন , এখন প্রত্যেকেই বাড়িতে বসে শপিং করতে চান , কোনো ব্যাবসা করতে চান। তাই ডিজিটাল প্রোডাক্ট এর বেশি ফোকাস করবেন। আর যে সব প্রোডাক্ট থেকে কমিশন বেশি পাবেন , অর্থাৎ অল্প সময়ে বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
*কিছু লাভজনক এবং সহজে বিক্রি হওয়া প্রোডাক্ট :
১. হোস্টিং ও ডোমেন।
২. মোবাইল , ল্যাপটপ ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী।
৩. ক্লোদিং সামগ্রী।
৪. ওয়ার্ড প্রেস থিম।
৫. বিভিন্ন রকম ডিজিটাল প্রোডাক্ট।
*আয় করা টাকা কিভাবে পাবেন ??
আপনি যখন কোনো কোম্পানির এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন কমিশন পাওয়ার সাথে সাথেই তারা ব্যাংক ডিটেলস চাইবে এবং আপনি ডিটেলস জমা দিলে সঠিক সময়ে টাকা পেয়ে যাবেন।
বড়ো বড়ো কোম্পানির ক্ষেত্রে ঠকে যাওয়ার কোনো চান্স নেই তবে আপনাকে বেশ সজাগ থাকতে হবে।
উপসংহার :
এফিলিয়েট মার্কেটিং একটি নতুনতম অনলাইন টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি। তাই অল্প দিনে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যেহেতু আপনাকে কোনো রকম টাকা ইনভেস্ট করতে হচ্ছে না তাই এবং বিশেষ কোনো টেকনিক্যাল দক্ষতার ও দরকার পড়ে না, তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাক্টিভ যে কোনো মানুষ ই চাইবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতকেতিন কিন্তু ফ্লিপকার্ট, আমাজন এর মত বৃহত কোম্পানি গুলি এখন সহজেই এফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে সকল কে নেয় না। আপনার ব্লগ না ওয়েবসাইট এ কোনো ইলিগ্যাল প্রমোশন হচ্ছে কিনা চেক করে তবেই রেজিস্টার করতে দেয়। তাই এই এফিলিয়েট মার্কেটার হতে গেলেও কম্পিটিশন আছে । এবং আপনাকে সুদক্ষ হাতে অনলাইন মার্কেট কিরূপ চাহিদা সেগুলি পরিচালনা করতে হবে। তবেই আপনি বেশ ভালো রকম ইনকাম করতে পারবেন।