স্টক মার্কেট কি? What is Stock Market in Bengali? স্টক মার্কেট থেকে আয়ের সহজ উপায়

স্টক মার্কেট এর ওপরেই যে কোনো দেশের অর্থনীতির তারতম্য নির্ভর করে । দেশের বড়ো বড়ো কোম্পানির ভীত শেয়ার বাজারের ওঠা নামার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে রয়েছে । বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের শেয়ার বাজার বা স্টক মার্কেট সম্পর্কে পরিষ্কার কোনো ধারনা থাকে না ।

যারা নিজের জীবিকা হিসেবে চাকরি না করে স্বাধীন ভাবে ব্যাবসা করতে চায় , তাদের জন্য স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করা ভালো একটি অপশন হতে পারে । দীর্ঘ দিন লকডাউনের প্রভাবে দেশের অর্থনীতির ওপর বিশাল এক প্রকার নিতিবাচক প্রভাব পড়েছে । প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি গুলিতেও কর্মী ছাঁটাই খুব সাধারণ ব্যাপার হয়ে পড়েছে । এই রকম পরিস্থিতিতে নিজের দক্ষতায় ছোটো ব্যাবসা করে ইনকাম করার পথ বেছে নেওয়াউচিৎ।

 আপনি যদি স্টক মার্কেট সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে চান এবং কিভাবে স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করে ইনকাম করা যায় , তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন ,পুরো আর্টিকেল টিকে পড়ে দেখুন ….  

✓ স্টক মার্কেট শেয়ার বাজার কী ??

স্টক মার্কেট বা শেয়ার বাজার এমন এক স্থান যেখানে বিভিন্ন কোম্পানি বা বড়ো কোনো প্রতিষ্ঠান শেয়ার কেনা বেচার জন্য স্টক মার্কেটে নাম নথিভুক্ত করেছে । অর্থাৎ কোম্পানি গুলির
মালিকানার কিছু অংশ ক্রয় – বিক্রয় করা হয়। কোম্পানির শেয়ার ভাগ দেওয়া হয় ।

যখন কোনো কোম্পানি সঠিক ভাবে লাভবান হচ্ছে না বা মালিক একা অর্থ বিনিয়োগ করতে চাইছে না , তখনই স্টক মার্কেটে নাম নথিভুক্ত করেন । এবং সাধারণ মানুষ ওই কোম্পানির নিদির্ষ্ট কিছু শেয়ার কিনে নেন অর্থাৎ অর্থ বিনিয়োগ করেন । ফলস্বরূপ কোম্পানি টি ওই অর্থ ব্যাবসার উন্নতি তে কাজে লাগাতে পারে
কোম্পানি টি আরো বেশি পরিমাণ মূলধন নিয়ে সফলভাবে কোম্পানি টি দাঁড়িয়ে পড়ল ।

এবারে প্রশ্ন হলো , স্টক মার্কেটে লাভ ক্ষতি কিভাবে নির্ধারিত হয় ….

স্টক মার্কেটে নথিভুক্ত কারী কোম্পানি টি যত বেশি উৎপাদন করবে অর্থাৎ কোম্পানির আয় যত বাড়বে স্টক মার্কেটে লভংশ ও বাড়বে ।
আপনি যদি ওই কোম্পানিটির শেয়ার কিনে রাখেন আপনিও লাভের অংশ পাবেন।
আপনি শেয়ারের যতটুকু অংশ কিনবেন ওই অংশ টুকুর মালিক হিসেবে গণ্য হবেন। সাধারণত পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি গুলির শেয়ার ক্রয় – বিক্রয় করা হয় ।

স্টক মার্কেটে অর্থ বিনিয়োগ কিভাবে করবেন:

স্টক মার্কেটে অর্থ বিনিয়োগ এর কথা শুনলেই , প্রত্যেকের মধ্যেই অনেক দ্বিধা কাজ করে । মানুষ ভাবে লাভ করার বদলে যদি ক্ষতির মুখ দেখতে হয় তাই সবাই পিছিয়ে আসে । এই ধরনের ভাবনার প্রধান কারণ হল জ্ঞানের অভাব । আমরা খবরের কাগজে স্টক মার্কেটে এর ওঠা নামা দেখে ভয়ে আর অর্থ বিনিয়োগ করিনা । কিন্তু প্রত্যেক ব্যাবসা তেই রিস্ক ফ্যাক্টর থেকেই যায় । তাই কোনো ব্যাবসা বা নিজস্ব ব্র্যান্ডিং শুরু করার আগে আপনকে সেই নির্দিষ্ট ব্যাবসা টি সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে হবে । তাই আপনি যদি স্টক মার্কেট এ অর্থ বিনিয়োগ করতে চান , আপনাকে এই মার্কেটের এ টু জেড জানতে হবে । ওপর ওপর থেকে ভ্রান্ত ধারনা নিয়ে শুরু করলে কখনোই আপনি লাভবান হবেন না ।

এবারে আসি আপনি স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ কি কি উপায়ে করবেন …….


প্রথমত , আপনাদের জেনে রাখা ভালো স্টক মার্কেটের তিনটি প্রধান স্তম্ভ …..

কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান।
ব্রোকার বা দালাল।
সাধারণ মানুষ

আপনি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে চাইলে ব্রোকার বা দালালের মাধ্যমেই কোম্পানির শেয়ার কিনতে পারবেন। এখানে ব্রোকার হল মধ্যমণি ।
এবারে আপনি ভেবেই নিয়েছেন শেয়ার মার্কেটে অর্থ বিনিয়োগ করতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে কয়েকটি ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে, যেমন যেকোন ব্যাবসা শুরু করার জন্য কাঁচামাল এর প্রয়োজন হয় সেরকম ই , এক্ষেত্রেও কয়েকটি জিনিস খুবিই দরকারি …

প্রাথমিক বিনিয়োগের জন্য পুঁজি।
একটি ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট।
উন্নতমানের ইন্টারনেট কানেকশান।
সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করার জ্ঞান।
আর সর্বশেষ ধৈর্য্য ও হাল না ছেড়ে দেওয়ার মানসিকতা।

শেয়ার বাজার সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দেওয়া দরকার …. তবেই আপনার অর্থ বিনিয়োগ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারনা পাবেন …

শেয়ার বাজারে সেই সব কোম্পানি গুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় , যাদের অর্থনৈতিক ভাবে সাপোর্ট এর দরকার অর্থাৎ কোম্পানির মালিক নিজের মালিকানা পাবলিকের সাথে ভাগ করে নিচ্ছে । আপনি যখনই ওই কোম্পানিটির কিছু অংশ কিনেছেন মানে আপনি ঐ অংশটির মালিকানা পাবেন । কোম্পানিটি যদি শেয়ার বাজারে লাভ এর মুখ দেখে তাহলে আপনিও যতটা শেয়ার কিনেছেন সেই হারে লাভ এর অংশ পাবেন । আর লোকসান হলে আপনিও ক্ষতির মুখোমুখি হবেন । এটাই শেয়ার মার্কেটের প্রাথমিক নিয়ম।

       এবারে জানা যাক স্টক মার্কেটে কোনো কোম্পানির ভ্যালু ওঠা নামা কিভাবে করে …  

স্টক মার্কেটে নথিভুক্ত কারি কোম্পানি টি সাধারণ মানুষের বিনিয়োগ কারী অর্থের ওপর আরো সফল ভাবে দাঁড়াতে পারে । আর সেই কোম্পানিটির আউটকাম যদি বৃদ্ধি পায় অর্থাৎ
উৎপাদনের হার বৃদ্ধি পেলে স্টক মার্কেটে ভ্যালু ও তরতর করে এগিয়ে যাবে , আর কোম্পানি লসে চললে স্টক মার্কেট এ ডাউন হবে।

✓✓ আপনাকে স্টক মার্কেটে অর্থ বিনিয়োগ করার আগে কয়েকটি ব্যাপার পর্যবেক্ষণ করতে হবে ….
আপনি যদি নতুন হন , সময় লাগবে জানতে বুঝতে কোন কোম্পানির স্টক কিনলে আপনি লাভবান হতে পারেন। সঠিক ব্রোকার কে চিনতে হবে । নাহলে আপনি কোনো সমস্যায় পড়লে ওই নির্দিষ্ট ব্রোকার টি কল রিসিভ করবে কিনা ঠিক নেই ।

তাই প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নামতে হবে । এখন অনলাইনেই ট্রেডিং করা যায়।
এই ট্রেডিং ও ট্রেডার শব্দ দুটি খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে । পাশ্চাত্যে অনেক যুগ ধরেই ট্রেডিং করে আসছে বহু মানুষ । এবং তারা বিপুল পরিমাণে অর্থ ও ইনকাম করছে । কিন্তু আমাদের ভারতের মত উন্নত শীল দেশে এটিকে জুয়া খেলার সাথে তুলনা করে সাধারণ মানুষ দূরেই থেকেছে বহুদিন
কিন্তু বর্তমানে অনলাইন এ ফ্রিল্যান্সিং বা বাড়িতে বসে কাজের রমরমা বাড়তে , ট্রেডিং কেও জীবিকা হিসেবে অনেকেই গ্রহণ করছে।

বর্তমানে অনলাইনে কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন এ আপনি শেয়ার মার্কেটের ওঠা নামা দেখতে পারেন ।
একে লাইভ ট্রেডিং বলে ।
আপনার একটা ট্রেডিং একাউন্ট থাকা চাই , কাজ শুরু দিকে আপনাকে সর্বক্ষণ লক্ষ্য রাখতে হবে কোন কোম্পানির স্টক এক্সচেঞ্জ কেমন যাচ্ছে । সেই বুঝে আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে ।

আপনার অবশ্যই Demat এ অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে । স্টক এক্সচেঞ্জ , বিনিয়োগকারীদের
ইকুইটি , ডেরিভেটিভ ,মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইত্যাদি টার্ম সম্পর্কে বিশদ ধারনা থাকা দরকার ।

স্টক এর দাম প্রতি মুহূর্তে আপনি অনলাইনে
দেখতে পাবেন । এবং স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন ।

তবে আপনাকে স্টক মার্কেটের নার্ভ ধরে ফেলতে হবে । সঠিক ভাবে বিশ্লেষনের মাধ্যমে
যদি স্টক এক্সচেঞ্জ করেন তাহলে লাভবান হবেন।

আপনাকে আর একটি দিক খেয়াল রাখতে হবে আপনি যে কোম্পানির ই স্টক কেনেন না কেন , ব্রোকার হাউসের মাধ্যমেই কিনতে হবে। মানে আপনাকে ব্রোকার চার্জ দিতে হবে।

শেয়ার মার্কেটে দুধরনের মার্কেট দেখা যায়

প্রথমটি হল আইপিও অর্থাৎ ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং এর মাধ্যমে কোনো কোম্পানি তার প্রতিষ্ঠান টিকে ভাগ করে নেওয়ার জন্য জনগণের কাছে প্রস্তাব দিচ্ছেন। এই বিনিয়োগ পক্রিয়ায়
আপনি স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করতে পারেন।
এই গণপ্রস্তাবের মধ্য দিয়েই প্রাইভেট কোম্পানি গুলি পাবলিক কোম্পানিতে রূপান্তরিত হয়।
যেসব কোম্পানিগুলির বেশ বড়ো রকমের মূলধনের প্রয়োজন সোজা ভাষায় ইনভেসটরস এর প্রয়োজন তারা শেয়ার মার্কেটে নথিভুক্ত করে।
আইপিও এর মাধ্যমে কোম্পানির শেয়ার গুলো মাধ্যমিক বাজারে সহজে লেনদেন করা যায়,যেটিকে ফ্রি ফ্লোট বলা হয় । সাধারণত আইপিও সম্পর্কিত বিবরণ নথিপত্র প্রসপেক্টাস নামে পরিচিত একটি কাগজের দ্বারা ক্রেতাদের নিকট প্রকাশ করা হয়।

✓ আইপিও এর দ্বারা মূলত কোম্পানি বেশ সুবিধালাভ করে …..

এটি মূলধন সংগ্রহ এর একপ্রকার সহজ উপায়।
কম সুদে ব্যাংক থেকে সুদ পাওয়া , নানারকম অর্থায়নের দিক খুলে যায় ।

দরকার এর থেকে বেশি মূলধন সংগ্রহ করে কোম্পানি বেশ ভালো রকম দাঁড়িয়ে পড়ে।

প্রাথমিক গণপ্রস্তাব এর আইনগুলো বিভিন্ন দেশে আলাদা আইন দ্বারা পরিচালিত হয় । যেমন – যুক্তরাষ্ট্রে ,
তাদের নিজস্ব আইন দ্বারা পরিচালিত হয়।

✓ আইপিও বিভিন্ন পদ্ধতিতে পরিচালনা করা হয় ……
অগ্রিম পরিচালনা ।
অবলেখক নিয়োগ ।
বরাদ্দ এবং মূল্য নির্ধারণ ।
শেয়ার হস্তান্তরে ।

✓ আইপিও এর কিছু অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করি …


কোম্পানির গোপনীয়,সংবেদনশীল তথ্য অনেকসময় জনসাধারণ এর কাছে প্রকাশ করতে হয় ।
আইনি হিসাব নিকাশ, বাজারে মূল্যবৃদ্ধি এর খরচ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায়।
নতুন নতুন শেয়ার হোল্ডার দের কারনে ব্যাবস্থাপনা এর নিয়ন্ত্রণ কিছুটা হলেও আলগা হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে।
জনসাধরণের জন্য প্রকাশিত তথ্য অনেকসময় প্রতিযোগী ও বিনিয়োগকারীরা লাভ নিতে পারে ।

এবারে দ্বিতীয় ধরনের মার্কেট নিয়ে আলোচনা করি …..

সেকেন্ডারি মার্কেট :

সেকেন্ডারি মার্কেট বা দ্বিতীয় বাজার হল একটি অর্থনৈতিক বাজার যেখানে জনসাধারণের ইস্যু ও সাবস্ক্রাইবার এর পরে স্টক,বন্ড, শেয়ার,অপশন,সিকিউরিটি এই মার্কেটে ট্রেড করা বা সহজ ভাষায় বললে কেনা ও বেচা যায়। প্রত্যেক টি বিক্রয় ই প্রাথমিক সেলের পরে সেকেন্ডারি মার্কেটে বিক্রয় করা হয়।অর্থাৎ প্রাথমিক মার্কেটে সিকিউরিটি গুলো বিক্রি করা হয় আর সেকেন্ডারি মার্কেট ওই সিকিউরিটি গুলো নিয়ে ট্রেডিং করা হয় ।


সেকেন্ডারি মার্কেটে টি তৈরি করা হয়েছে ,যাতে করে বিনিয়োগকারীরা যাবতীয় তথ্য পেতে পারে।
স্টক মার্কেট কেমন যাচ্ছে , দেশের অর্থনৈতিক ওঠা পড়া জানা যায় এই মার্কেটের মাধ্যমে ।
প্রধান প্রধান স্টক এক্সচেঞ্জ গুলি দেখা যায় লিকুইড সেকেন্ডারি মার্কেটে থেকে ।

বেশ বিখ্যাত স্টক এক্সচেঞ্জ এর উদাহরণ হল ….


নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ ।
লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জ ।
নাসদাক স্টক এক্সচেঞ্জ ।
এই স্টক মার্কেট গুলি বিনিয়োগকারীদের সেন্ট্রালাইজড, লিকুইড সেকেন্ডারি মার্কেট প্রদান করে যেখান থেকে তারা চাইলেই স্টক কেনা বেচা করতে পারে ।

✓ সেকেন্ডারি মার্কেটের সুবিধা গুলি হল ….

সেকেন্ডারি বাজার প্রধানত দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিমাণ মাপতে সাহায্য করে।
কোম্পানি সংক্রান্ত কোনো নতুন তথ্য, স্টক এক্সচেঞ্জ এর খবর খুব দ্রুত পরিবর্তন হতে থাকে এবং ট্রেডার দের হাতে সময় ও খুব কম থাকে , তখন সেকেন্ডারি মার্কেট খুব তাড়াতাড়ি দাম সমন্বয় করে দেয়।
সব বিনিয়োগকারীরা ছাড় পায়। তাই অসংখ্য বিনিয়োগকারী যেকোন প্রয়োজনে সহজেই সিকিউরিটিজ বিক্রি করতে পারে।
সেকেন্ডারি বাজার কে একটি কোম্পানির প্রধানত মূল্য নির্ধারণের বেঞ্চ মার্ক বলা হয়।
সেকেন্ডারি মার্কেটের তরলতা স্টক এক্সচেঞ্জ নগদে কেনা বেচায় সাহায্য করে।

এবারে দুই প্রকার ট্রেডিং এর ভাগ নিয়ে আলোচনা করবো ……


১. সুইং ট্রেডিং
২.ইন্ট্রাডে ট্রেডিং

সারা বিশ্বে নানারকম পদ্ধতি প্রচলিত আছে , যার মাধ্যমে ট্রেডার রা প্রতিনিয়ত লাভবান হচ্ছেন।
ট্রেডিং হল নার্ভ ধরে রাখার ব্যাবসা ও সুকৌশলে এগিয়ে যাওয়ার ব্যাবসা।
সেরকম সুইং ট্রেডিং ও ট্রেডিং এর জনপ্রিয় পদ্ধতি।
এক্ষেত্রে ট্রেডিং টিকে কয়েকদিন থেকে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাখতে হয়। সুইং ট্রেডার রা কয়েকমাস যাবত ট্রেডিং এর টেকনিক্যাল দিকগুলি আনালাইস করতে থাকে সেখান থেকে বেশ কয়েকটি কমন চার্ট বা প্যাটার্ন খুঁজে বের করে সেই অনুযায়ী তারা স্টক এক্সচেঞ্জ কেনা বেচা করে । এটি একটি হাই মার্কেট ও লো মার্কেট এর মধ্যেকার পদ্ধতি ।


ধৈর্য্য শীল ট্রেডার রাই সুইং ট্রেডিং করতে সক্ষম হয়। এই ধরনের ট্রেডার রা ট্রেড নিয়ে নেশাগ্রস্ত নন বুদ্ধি দিয়ে একটু সময় নিয়ে তবেই বিনিয়োগ করেন । লস এর সম্ভবনা থাকলে পিছিয়ে আসেন।
সুইং ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে এটি দেখা যায় ট্রেড গুলি একদিনের বেশি সময় ধরে খোলা থাকে।
এক্ষেত্রে প্রধান ফোকাস হল কমসময়ে সামান্য লাভ নেওয়া।
সুইং ট্রেডার রা বাজার দর কেমন যাচ্ছে, ওঠা পড়ার দিকে বেশ কয়েকদিন ধরে নজর রাখে,যখনই স্টক মার্কেট হাই পজিশন এ থাকে পরিবর্তন হওয়ার আগে স্টক এক্সচেঞ্জ করে নেয়।

সুবিধা :

সুইং ট্রেডিং অন্য ট্রেডিং এর চেয়ে তুলনামূলক কম সময়ে ব্যায় করে।
এই ধরনের ট্রেডার রা দীর্ঘদিন টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস এর ওপর ভিত্তি করে ট্রেডিং স্ট্রাটেজি তৈরি করে।ফলস্বরূপ তারা ব্যাবসাটি যথেষ্ঠ দক্ষতার সাথে করে থাকে ।
এক্ষেত্রে ট্রেডার রা নিজস্ব পছন্দের ভিত্তিতে ট্রেডে মূলধন বিনিয়োগ করার সুযোগ পায় এবং চাইলেই নিজের ডোমেন ও তৈরি করতে পারে।

ইন্ট্রা ডে ট্রেডিং :

ইন্ট্রা ডে ট্রেডিং কে প্রচলিত কথায় ডে ট্রেডিং ও বলা হয়।এটি একটি বহুল জনপ্রিয় ট্রেডিং পদ্ধতি। এটি একটি নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হয়।একদিনের কেনা বেচা পদ্ধতি বলা হয়ে থাকে। আপনাকে তবে ফুলটাইম এই ট্রেডিং এর পিছনে দিতে হবে কারণ সর্বক্ষণ আপনাকে ট্রেডিং মার্কেটের দিকে নজর রাখতে হবে।
ইন্ট্রাডে ট্রেডিং এ সফল হতে হলে বেশ ভালোমত অনুশীলন করা প্রয়োজন। এর উদ্দেশ্য হল দাম বাড়লেই বেচে দেওয়া।
ইন্ট্রাডে ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে স্টক নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এক্ষেত্রে হাই লিকুইড স্টক নির্বাচন বেস্ট হবে ।

এই ধরনের ট্রেডিং করার জন্য কয়েকটি জিনিস আবশ্যিক ভাবে দরকার পড়ে ..…..

ডিম্যাট এ একটি আকাউন্ট খুলতে হবে এবং টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস এর একাধিক টুলের ও দরকার পড়বে।
বেশ কয়েকটি সফটওয়্যার সম্পর্কে নলেজ এর দরকার পড়বে।

সুবিধা :

ইন্ট্রাডে ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে বেশ হাই রেটে ফেরত পাওয়া যায়।
ব্রোকার এর চার্জ তুলনামূলকভাবে কম।
ডে ট্রেডিং এ আপনি ১০ থেকে ৩০ গুন লিভারেজ পাবেন।

উপসংহার :

প্রত্যেক ব্যাবসার মতোই এই ব্যাবসা টি তেও ঝুঁকি আছে। অনেকেরই শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারনা আছে, তবে আপনার যদি শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান থাকে এবং জীবনে ঝুঁকি নেওয়ার মত মানসিকতা থাকে তবে আপনার জন্য উপযুক্ত ব্যবসা আইডিয়া। প্রত্যেক ব্যবসাতেই লাভ ও লোকসান দুটো দিক থাকে, লোকসানের মুখোমুখি হওয়ার ক্ষমতা থাকলে অবশ্যই শুরু করুন ট্রেডিং। কারণ প্রথম দিকে লোকসানের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
আশা করছি, পুরো আর্টিকেল টি পড়ে আপনাদের প্রাথমিক কিছু ধারনা অবশ্যই তৈরি হয়েছে। স্টক মার্কেট একটি ভালো ব্যবসায়িক ক্ষেত্র, ধৈর্য্য ও মনোবল নিয়ে আপনিও শুরু করে দিতে পারেন।




Leave a Comment